Description
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের ছাউনিতে প্রথম প্রকাশ্য বিদ্রোহ করেছিলেন বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩৪ নং ব্যাটেলিয়নের সিপাহী মঙ্গল পাণ্ডে। ৮ এপ্রিল কোর্ট মার্শালের রায়ে ফাঁসি দেওয়া হল তাঁকে। ২২ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডেকে সাহায্য করার অভিযোগে ফাঁসি দেওয়া হল জমাদার ঈশ্বরীপ্রসাদ পাণ্ডেকে। আর ঠিক আঠেরো দিনের মধ্যেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে মিরাট ছাউনিতে। বিদ্রোহের যেসব ভূস্বামী নেতৃত্বের নাম আমরা শুনি, তাদের অনেকেই সিপাহীদের ভরসাতেই বিদ্রোহের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন হাতে। আবার শেষ মুঘল বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরকে মিরাটের বিদ্রোহী সিপাহীরা বন্দুকের নিশানায় রেখে বাধ্য করেছিলেন কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরোয়ানা জারি করতে।
বিদ্রোহী সিপাহীরা কি স্বাধীনতা সংগ্রামী? সিপাহীদের বিদ্রোহই যদি হবে, তাহলে গণসমর্থনের প্রশ্ন এল কেন? কেনই বা সম্বলপুর, আরা, ভরতপুরের মতো জায়গা, যেখানে সেনাছাউনি নেই, সেখানেও বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল? আর সেই বিদ্রোহে মুখ্য ভূমিকা নিলেন সাধারণ মানুষ? বিশেষত কৃষকেরা? খটকা আছে।
এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ ব্যবহারকেই বিদ্রোহের প্রকাশ্য কারণ বলে প্রায় সবাই মেনে নিয়েছেন। সত্যি? নাকি মুখ দিয়ে কার্তুজের ফিতে কাটাকে ব্যবহার করা হয়েছিল সিপাহীদের উশকে দিতে? বম্বে বা ম্যাড্রাস আর্মিতে তো একই সমস্যা ছিল। সেখানে বিদ্রোহ হল না কেন? কেন হল না শিখ রেজিমেন্ট বা গোর্খা রেজিমেন্টে? তাহলে ১৮৬২ পর্যন্ত সম্বলপুরে কিভাবে চলল বিদ্রোহ? প্রশ্ন অনেক, উত্তরও অজস্র।
আজ দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে পাঠকের সামনে আনা হল মহাবিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে রচিত বাংলা ভাষার সর্ববৃহৎ উপন্যাসের প্রচ্ছদ। সুজন ভট্টাচার্যের লেখা প্রায় দু’লক্ষ শব্দের ঐতিহাসিক উপন্যাসের প্রথম খণ্ড।
Reviews
There are no reviews yet.