Description
প্রথম যখন এ পৃথিবীর দিকে চোখ মেলে চেয়েছিলেন, তখন চলছে ভারত-পাক যুদ্ধ। কথায় বলে, ‘morning shows the day’, তাই সমগ্র জীবন ধরেই চলে এক নিরন্তর যুদ্ধ, তবে সে যুদ্ধ বাইরের নয়, অন্তরের। আবাল্য মনে উঠত হাজারও প্রশ্ন, উত্তরে জুটত হয় রক্তচক্ষু নয়তো বেত্রাঘাত। তাই স্কুল-কলেজ নয়, জীবনের পাঠ লাভ করেন বনজঙ্গলের বুকে, প্রকৃতি-মাতাই ছিলেন শিক্ষিকা। সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে বিভ্রান্ত হয়ে একদা আত্মবিনাশে উদ্যত হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করেন জীবনের মূল্য। তখন থেকেই বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করতে শুরু করেন যাযাবর, প্রান্তিক লোকজন আর হিমালয়ের পথে পথে। ধর্মের পথে বহু দূর হেঁটে পৌঁছেছিলেন সপ্তদশ কর্মাপা আর চতুর্দশ দালাই লামার শ্রীচরণে। তিনি মিলারেপার পরম্পরানুসারী একমাত্র ভারতীয় যোগী লামা, কর্মা জ্ঞান বজ্র রেপা। ধর্ম নয়, মনুষ্যত্বই তাঁর কাছে বড়। প্রশান্ত মনই সুখ, নির্বাণ। আর সেই নির্বাণ লাভের জন্যই তিনি অবতীর্ণ হন রণে, যে রণ বিনাশ করে আমাদের প্রবৃত্তিসমূহকে। সম্বল তাঁর অহিংসা ও করুণার বুদ্ধবাণী।
অন্তরে সংঘটিত হয়ে চলা সেই নিরন্তর যুদ্ধের কাহিনিই এবার তিনি লিপিবদ্ধ করলেন দুই মলাটে, আসছে আত্মজৈবনিক আখ্যান ‘অন্তঃরণ’।
Reviews
There are no reviews yet.