Description
ভারতের মহাকাব্যিক চরিত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শেষ পর্যন্ত কী হল? এই প্রশ্নে জনমানস এখনও উদ্বেলিত।
জওহরলাল নেহরু, তাঁর কন্যা ইন্দিরা ও তাদের বংশপরম্পরায় যে শাসন, কেউই চাননি নেতাজি রহস্য উন্মোচিত হোক। চক্রান্তের জাল গভীরে ছড়িয়ে। ওই চক্রান্তের ভাগীদার অনেকেই। নেতাজি যেন ভারতে ফিরে না আসেন সে কারণে তারা ভীত, সন্ত্রস্ত। আর এ কারণে কুচক্র তৈরি হয়েছিল, যার মধ্যে গান্ধি, নেহরু, জিন্না, মৌলানা আজাদ, বল্লভভাই প্যাটেল। কে নেই? রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি, বিজেপি সবাই আবার অন্যদিকে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলী ছিলেন, সাথে লর্ড মাউন্টব্যাটেন প্রমুখ।
নেতাজি রহস্য উন্মোচিত যাতে না হয় তার জন্যে আজও অজস্র নেতাজি সম্বন্ধীয় ফাইল ভারত সরকার আটকে রেখেছে। নেতাজি আজও ‘যুদ্ধ অপরাধী’। মাঝে মাঝেই ভারত সরকার যেন জেগে ওঠে জাপানের রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজির ‘তথাকথিত’ ছাই ভারতে আনবার জন্যে, উদ্দেশ্য নেতাজিকে পাকাপাকিভাবে মৃত প্রমাণ করা। –
দেশে বিদেশের বিভিন্ন মহাফেজখানাতে নেতাজির সম্বন্ধে অসংখ্য ফাইলকে এখনও গোপনীয়তার আড়ালে রেখে দেওয়া হয়েছে।
একদিকে নেতাজিকে দেশে ফিরতে না দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা, অপরদিকে নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ করে এক লজ্জাকর, ঘৃণ্যতম, কলঙ্কময় কাহিনির সর্দার হয়েছিলেন নেহরু। একদিকে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সম্বন্ধে নেহরু ও কংগ্রেসের বিষোদ্গার, অপরদিকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য নেতাজির জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো – নেহরুর এই দ্বিচারিতার কীর্তি, কাহিনি আজ উন্মোচিত।
রহস্যে ঘেরা ফৈজাবাদের রামভবন এক নতুন যুগের ভোর আমাদের উপহার দিতে চলেছে। নেতাজি রহস্যের সমাধান আজ আর দূরে নয়। ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। মহামানবের দৃপ্ত পদধ্বনিতে ভারতবর্ষ প্রকম্পিত হবে।
Reviews
There are no reviews yet.