Description
“গোটা বিশ্বের সামনে ফেসবুকের যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তা প্রথম বড়ো ধাক্কা খেল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। এই সময়েই ব্রিটেনের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিক্যার সঙ্গে তথ্য কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় ফেসবুকের।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল সংস্থা স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস ল্যাবরেটরিজএর প্রধান আলেকজান্ডার নিক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য লোপাট করেছে তাঁর সংস্থা। এই ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যবহারকারীর মধ্যে অধিকাংশই আমেরিকার। সংখ্যার নিরিখে হয়তো তুচ্ছ কিন্তু এই তালিকায় তথ্য চুরি গিয়েছে এমন ভারতীয়র সংখ্যাও ছিল প্রায় ৫ লাখ ৬২ হাজার।
২৪ নভেম্বর ২০১৮, ব্রিটেনের বিখ্যাত সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ফেসবুকের একচেটিয়া ক্ষমতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এর আগে একাধিকবার ব্রিটিশ
পার্লামেন্টের সাংসদদের প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেন ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, এই তথ্য ফাঁস তথ্য সুরক্ষা আইন বিষয়ে জুকেরবার্গের উদাসীনতাকে প্রমাণ করে। এই সময়ে সংসদের বিশেষ
ক্ষমতা ব্যবহার করে ওই তথ্য জোগাড় করা হয়। ওই নিবন্ধে স্পষ্ট বলা হয়,ওই গুপ্ততথ্যের ভাণ্ডারে ফেসবুকের গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ নীতি সম্পর্কিত এমন তথ্য রয়েছে, যা থেকে অ্যানালিটিকাকে কেলেঙ্কারি সম্পর্কেনিঃসংশয় হওয়া যায়। আমেরিকান সফটওয়্যার কোম্পানি সিক্সফোরথ্রি-কে তথ্য ফাঁস করতে বাধ্য করেছিল ব্রিটিশ সংসদ ফেসবুকের এক মুখপাত্রের মতে কোম্পানির এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই এবং এই তথ্য ফাঁস হলে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়।”
কিন্তু এইদেশের ভোটে ফেসবুকের (অপ) ব্যবহার কীভাবে হয়েছিল ? কোন কোন রাজনৈতিক দল ফেসবুক বা তার সহযোগী সংস্থার সাথে সেই ২০০৩ থেকেই কোন কোন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কাজ করছিল? বিস্ফোরক সেইসব তথ্য দিয়েই ঠাসা পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, অর্ক দেব আর সিরিল স্যামের লেখা এই বই ফেসবুক : মুখ ও মুখোশ ।
Reviews
There are no reviews yet.