Description
মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজী সুভাষ দুজনেই আমাদের দেশের দুই সর্বজনশ্রদ্ধেয় মহাপুরুষ। একজন আজীবন অহিংস আস্থা রেখে দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন, অপর জন সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবন পণ করেছিলেন।
দুজনের মতাদর্শে প্রভেদ ছিল, কিন্তু দুজনেই দুজনের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব লগ্নে মহাত্মা অনুভব করেছিলেন নেতাজীর অনুপস্থিতির অভাব। তাঁর দৃঢ় ধারণা ছিল সুভাষচন্দ্র উপস্থিত থাকলে দেশ এভাবে দ্বিখণ্ডিত হত না। বস্তুত সাম্প্রদায়িকতা, অস্পৃশ্যতা, সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে উভয়েরই দৃঢ় বিরােধিতা ছিল।
“সত্যের সন্ধানে’ বইটিতে মহাত্মা গান্ধীর জীবনের কিছু বিশেষ ঘটনাকে চিত্রায়িত করা হয়েছে ও অনুরূপভাবে ‘সুভাষ আলেখ্য’ বইটিতে জননায়ক সুভাষের জীবনের বিশেষ অতীতদৃশ্যের চিত্ররূপ ফুটিয়ে তােলা হয়েছে।
“সত্যের সন্ধানে’ বইটি প্রকাশ করেন কংগ্রেস সাহিত্য সংঘ ১৯৪৮ সালে। ‘সুভাষ আলেখ্য’ বইখানি প্রকাশনা করেছিলেন কলকাতার এ মুখার্জি এণ্ড কোং, ৭০-এর দশকে।
পরিকল্পনা ও চিত্রাঙ্কণে ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র লাহিড়ি, যিনি প্রকৃতপক্ষে ছিলেন একদিকে জাতীয়তাবাদী এক শিল্পী অপরদিকে সংবাদপত্র মহলের জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট, যিনি কার্টুন আঁকতেন যথাক্রমে পিসিয়েল ও কাফী খা এই দুই ছদ্মনামে। শুধু তাই নয় ইনি বাংলায় চিত্ৰকাহিনি বা কমিক্সের পথপ্রদর্শক শিল্পী ছিলেন। আজকের যা গ্রাফিকস বই, উপরােক্ত দুটি বইকে তৎকালের গ্রাফিক্স বইয়ের আদর্শ বলা চলতে পারে অনায়াসেই।
বহু আগেই হারিয়ে যাওয়া এ বই দুটি পুনঃপ্রকাশনার মাধ্যমে লালমাটি প্রকাশন প্রবীণ পাঠকদের স্মৃতিকে আবার উজ্জীবিত করলেন। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্ম শিল্পীর ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে পরিচিত হবেন। একই সঙ্গে আমাদের দেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের ৭৫ বর্ষ পালিত হচ্ছে বর্তমান বছরে। বইটি পুনঃপ্রকাশের এই সময়টি মাহেন্দ্রক্ষণ।
বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায়
সুশান্ত রায়চৌধুরী।
Reviews
There are no reviews yet.