Description
হুমায়ূন আহমেদ স্বাধীনোত্তোর বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। এপার বাংলাতেও তাঁর গুনমুগ্ধ পাঠকের সংখ্যা অগণিত। কিন্তু ব্যক্তি হুমায়ূন সম্পর্কে তাঁর মৃত্যুর পরে উঠে আসা বিভিন্ন বিতর্ক আমাদের অনেক সময় অবাক করেছে। হুমায়ূনের মৃত্যুর পরে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মুড়মুড়ে মোড়কে আবদ্ধ করে বাজারে যেভাবে আনা হয়েছিল তা অনাকাঙ্খিত। শুধু এই মানুষটি নয় তাঁর পরিবারটি একটি নক্ষত্র পরিবার। মা আয়েশা থেকে শাওন অবধি প্রত্যেকেই নিজস্ব গরিমায় মহিমান্বিত। হুমায়ূনের চারপাশে যারা ছিলেন তাঁরাও স্বীয় কীর্তিতে কীর্তিমান। হুমায়ূনের জীবনের ঘটনাগুলি ও তা থেকে সৃষ্ট অভিঘাতগুলি অনান্য সাহিত্যিকদের জীবন থেকে একেবারে আলাদা। এই ঘটনাক্রমগুলি সাজালে অনায়াসে জন্ম নিতে পারে আলাদা একটি উপন্যাস এবং পাঠক হয়ত তাদের প্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূনকে চিনতে পারবেন অন্য দৃষ্টিকোন থেকে। লেখক অমিত গোস্বামী, হুমায়ূন আহমেদের ছোটভাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে পত্র পাঠালেন। সর্বকনিষ্ঠ ভাই আহাসান হাবীবের সাথে দেখা করলেন। তাঁরা দুজনেই স্বীকার করলেন যে সত্যি হুমায়ূন আহমেদের জীবনের ঘটনাগুলির মধ্যে ঔপন্যাসিক আবেদন আছে। লেখক টেলিফোনে কথা বললেন গুলতেকিন খানের সঙ্গে। তিনি উৎসাহ দিলেন এবং আরেকটা কথা বললেন যে তাঁর সাক্ষাৎকার বলে যে কথাগুলি বাজারে চালু সবটা সত্যি নয়। মেহের আফরোজ শাওন প্রস্তাব দিলেন- আপনি যখন হুমায়ূন নিয়ে এত পড়ছেন, এত তথ্য সংগ্রহ করছেন তাহলে একটা উপন্যাস লিখে ফেলুন। উপন্যাস লিখতে গেলে কার কোন অংশ পছন্দ হবে না, সঙ্গে সঙ্গে সে আইনের রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করবেন। এই প্রসঙ্গে শাওন বললেন- যা সত্যি তাই লিখবেন, কাউকে টেনে না লিখলেই হল। শুরু হল তথ্য সংগ্রহ ও বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণ পর্ব।
লেখক এই উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে হুমায়ূন দর্শনের অনুগামী হয়েছি। ঘটনাক্রম আগে পরে হয়েছে। এসেছে কাল্পনিক সংলাপ তবে তা ঘটনার অনুসারী। কয়েকটা সত্যি উপন্যাসের প্রয়োজনে একটু ভিন্নভাবে পরিবেশিত হয়েছে। একটা কথা এখানে পাঠকের মনে রাখতে হবে যে এটা ইতিহাস নয়। এটা উপন্যাস। কাজেই এখানে সব কিছু নিখুঁত নয়। উপন্যাস শেষ হয়েছে হুমায়ূনের মৃত্যুর সাথে। কারণ মৃত্যু পরবর্তী ঘটনা নিয়ে বিতর্ক মূল হুমায়ূনকে চিনতে বাধা দেয়।
Reviews
There are no reviews yet.