Description
ভারতবর্ষের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯২৫ সালের ৯-ই আগস্ট রাতে কাকোরী স্টেশনের কাছে সাহারানপুর-লখনউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ইতিহাসের পাতায় আর সরকারি নথিপত্রে যা ‘কাকোরী ট্রেন ষড়যন্ত্র’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে।
উত্তর ভারতের হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন আর বাংলার অনুশীলন সমিতির মতো দুটো ভিন্নধর্মী বিপ্লবী দলের দশজন অকুতোভয় মহাসংগ্রামীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে সংঘটিত হয়েছিল সেই রোমহর্ষক অবিশ্বাস্য ঘটনা। একটা চলন্ত সরকারি ট্রেনকে মাঝ রাস্তায় থামিয়ে সরকারি অর্থ লুন্ঠন করে সেই অর্থ সরকারের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করার মতো কাণ্ড শুধু পরাধীন ভারতবর্ষে কেন সারা বিশ্বের যে কোনো স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিরলের মধ্যেও বিরলতম ঘটনা।
দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর ১৯২৭ সালের ১৭-ই ডিসেম্বর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ি আর ১৯-শে ডিসেম্বর বিপ্লবী পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল, ঠাকুর রোশন সিংহ এবং আশফাকুল্লা খানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো। এর বেশ কিছুদিন বাদে ১৯৩১ সালের ২৭-শে ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদের আলফ্রেড পার্কে বিরাট পুলিশ বাহিনীর সাথে মরণপণ লড়াইয়ের শেষে রিভলবারের শেষ গুলিটা নিজের মাথায় চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন কাকোরী ট্রেন ডাকাতির সাথে সরাসরি যুক্ত আরেক মহাবিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ | কিন্তু মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু আজও গভীর রহস্যের অবগুন্ঠনে ঢাকা। সেদিন সেখানে তাঁর উপস্থিতির কথা পুলিশ জানলো কীভাবে? কে ছিল সেই বিশ্বাসঘাতক? সেই প্রশ্নগুলো নিয়েই বিশিষ্ট গবেষক আনন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ গবেষণার ফসল এই বই “কাকোরী ট্রেন ষড়যন্ত্র “।
Reviews
There are no reviews yet.