Description
‘নকশালবাড়িনামা’ নকশাল আন্দোলনের শুধুমাত্র ইতিহাস নয়। নকশাল আন্দোলনের বিভিন্ন ধারার উৎপত্তি, বিকাশ ও বৈশিষ্ট্যকে অতিক্রম করে এই রচনা লেখকের ছয় দশকের সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন, ইডেন হিন্দু হোটেল আন্দোলন, প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র আন্দোলন, নকশালবাড়ি আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে বাংলা-বিহার-ওড়িশার সীমান্ত অঞ্চলের গোপীবল্লভপুর, বহড়াগোড়া ডেবরা কৃষক আন্দোলনের সূচনা ও বিকাশকে বর্ণিত করেছে। অসীম চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিকভাবে কমরেড চারু মজুমদারের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার কট্টর সমর্থক হলেও,
পরবর্তীকালে নিজেদের অভিজ্ঞতাজাত শিক্ষায় ও চিনের পার্টির পরামর্শ অনুসরণ করে ‘শ্রেণীশত্রু খতম’-এর লাইনের বিপরীতে গণসংগঠন, গণ-আন্দোলনকে জনযুদ্ধ বিকাশের প্রয়াস রূপে তুলে ধরেছেন এই গ্রন্থে। জনগণ, একমাত্র জনগণই ইতিহাসের প্রকৃত নির্মাতা। এবং সেই শিক্ষা অনুসরণ করে তিনি গণতান্ত্রিক বাম-এর রাজনীতিকে গ্রহণ করেন, সেই ইতিহাসও এখানে বর্ণিত। স্ব-অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, সাম্যবাদী আন্দোলনে গণতন্ত্র ও কেন্দ্রিকতার বিষয়টি বারবার আলোচিত হয়েছে। দলের সমস্ত শক্তিকে সংহত করার জন্য কেন্দ্রিকতা যেমন জরুরি তেমনই জনগণের সক্রিয়তা, উদ্যোগ ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য গণতন্ত্র সমান গুরুত্ব দাবি করে। ছয় দশকব্যাপী দীর্ঘ পদযাত্রার, আশ্চর্য ভ্রমণের পরিসমাপ্তিতে লেখক অবশেষে এই মহাসত্যে পৌঁছেছেন, পার্টি বা নেতারা নন একমাত্র জনগণই ইতিহাসের প্রকৃত নির্মাতা। ‘নকশালবাড়িনামা’ এই সত্যকেই তুলে ধরেছে।
Reviews
There are no reviews yet.