Description
শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছিলেন―”যত মত তত পথ।” অর্থাৎ নানাভাবে ঈশ্বরকে ভালোবাসা যায়। ঠিক একইভাবে নিজের জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসাও নানাভাবে, নানা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই বইটি সেই ভালোবাসার একটি পথ। মাতৃরূপী ‘সবং’-কে দেওয়া তাঁর এক সন্তানের অসামান্য উপহার। আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চায় এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন ‘সবং: আঞ্চলিক ইতিবৃত্ত’। সম্পাদনা গৌতমকুমার পাত্র। ২০১২ সাল থেকে একনাগাড়ে নিবিড় অনুসন্ধান, ক্ষেত্রসমীক্ষা ও গবেষণার ফলশ্রুতি এই আঞ্চলিক ইতিবৃত্তের গ্রন্থটি। তবে, দুঃখের বিষয়, যাঁর শ্রম ও মেধার ফসল এই বই, সেই গৌতমই চলে যান অকালে। ২০১৯-এর ৯ এপ্রিল। কাজটি না-শেষ করেই। সহসম্পাদকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে পূর্ণতা পেল গৌতমের সেই তপস্যা। রঙিন ৭২পাতা-সহ ৯২০ পাতার এই বইটিতে রয়েছে ‘সবং’ নামক জনপদের ইতিহাস, ভূগোল, পুরা ও প্রত্নতত্ত্ব, মানবসমাজ, লোকসংস্কৃতি, পুথি, লোকশিল্প-হস্তশিল্প-কুটিরশিল্প, ভূমিরাজস্বের বিবর্তন, শিক্ষা-ভাষা-সাহিত্য, আঞ্চলিক শব্দভাণ্ডার, স্বাধীনতা সংগ্রাম, রাজনীতি, মানবউন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য, মৌজার নামকরণের উৎস, প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ও বংশ ছাড়াও দুষ্প্রাপ্য ও সংগ্রহযোগ্য অনেককিছুই। রয়েছে মধ্যযুগ থেকে এইসময় পর্যন্ত কীভাবে বদলে বদলে গিয়েছে সবংয়ের মানচিত্র। রয়েছে অতীতের পরগনাভিত্তিক সবংয়ের মৌজাসমূহের অবস্থান। তথ্যনিষ্ঠতাই এই তথ্যপঞ্জি অথবা গেজেটিয়ারধর্মী গ্রন্থটির প্রাণ।
Reviews
There are no reviews yet.