Description
সুপ্রাচীন কাল থেকেই সপ্তগ্রাম ছিল এক অত্যন্ত সমৃদ্ধ বন্দর-নগর। শুধুমাত্র সাহিত্যে নয়, ইতিহাসও সে বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়৷ ফরাসি, পর্তুগিজ, ডাচ, ইংরেজ ইত্যাদি বহু জনজাতি পদার্পণ করে এই নগরে৷ তাই সাহিত্য এবং ইতিহাস এই দুই ক্ষেত্রেই এ নগর বারবার উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রে৷ প্রায় ১৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সপ্তগ্রাম নিয়ে চর্চা করে চলেছেন নানা প্রাজ্ঞজন। তবুও, আক্ষেপের বিষয় এই যে, এ নগর নিয়ে ক্ষেত্র-সমীক্ষা হলেও প্রত্ন-সমীক্ষা আজও অনেকটাই উপেক্ষণীয়। ভাগীরথী, সরস্বতী এবং যমুনার প্রবাহপথের পরিবর্তন নিয়ে আজও কোনো বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্ত অনাবলোকিতই থেকে গেছে। দিলীপ সাহার অনুসন্ধানী মন ও নিরলস প্রচেষ্টা সপ্তগ্রামের ইতিহাস, ভূগোল, ধর্মাচার ও লোকসংস্কৃতির একটা সামগ্রিক ইতিহাস তুলে ধরতে চেয়েছে।
শিবপুর, খামারপাড়া, বাঁশবেড়িয়া, ত্রিশ বিঘা, বাসুদেবপুর, কৃষ্ণপুর, দেবানন্দপুর— এই সাতটি গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠে সপ্তগ্রাম। এ সবের বুক চিরেই বয়ে গেছে গঙ্গা-সরস্বতী। নদীমাতৃক ভূমি হওয়ায় দু’ পাশে ক্রমশ উর্বর হয়েছে শস্যভূমি, হয়েছে নানাবিধ শিল্পের পত্তন— তার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে জনবসতি। এভাবেই ধীরে ধীরে সপ্তগ্রাম হয়ে উঠেছে এক বর্ধিষ্ণু নগর। পৌরাণিক কাঠামো থেকে আধুনিক জনজীবনে প্রবেশ করেছে সে, ইতিহাস ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে৷ আঞ্চলিক ইতিহাসের তকমা ছাড়িয়ে হয়ে উঠেছে সম্পূর্ণ ইতিহাস।
আর সে ইতিহাস নিয়েই চর্চা করেছেন লেখক, ইতিহাসের সন্ধানে দীর্ঘ দিন পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। তাঁর ঐকান্তিক অনুসন্ধান এবং নিরলস প্রচেষ্টারই ফসল এই গ্রন্থ। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, পুরাণ ও ইতিহাসপ্রেমী পাঠক-বন্ধুদের কাছে এই গ্রন্থ এক নতুন দিক উন্মোচন করবে।
Reviews
There are no reviews yet.