Description
এই গ্রন্থের সম্পাদক শ্রী সন্দীপ রায় লিখলেন—
লেখক অজেয় রায় ‘সন্দেশ’-এর পাঠক-পাঠিকাদের কাছে কতটা জনপ্রিয় ছিল সে কথা নতুন করে আর কীই-বা বলব! বাবার সঙ্গে অজেয়দার সম্পর্কটা খুব কাছের ছিল। মূলত ‘সন্দেশ’-এর সম্পাদক ও লেখক হিসেবে বাবার সঙ্গে অজেয়দার পরিচয় হলেও একটা সময় সম্পর্কটা খুব কাছের হয়ে যায়। অজেয়দার লেখা পড়তে বাবা বেশ পছন্দ করতেন। ‘সন্দেশ’-এ প্রকাশিত অজেয়দার প্রথম উপন্যাস ‘মুঙ্গু’-র জন্য বাবা নিজেই অলংকরণ করেন। সবচেয়ে মজার বিষয় যেটা— এই ‘মুঙ্গু’ উপন্যাসটির পাণ্ডুলিপি বাবা হাতে পাবার পর বেশ কিছু সম্পাদনা করেন এবং তারপরে যেটা হল, উপন্যাসটি প্রায় নতুন চেহারা নিল। সেই থেকেই বাবা আর অজেয়দার মধ্যে সম্পর্কটা বেশ জোড়াল হল। অজেয়দাও বাবাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন, বাবাও অজেয়দাকে খুব স্নেহ করতেন। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ ছিল না ঠিকই, কারণ অজেয়দা ছিলেন শান্তিনিকেতনের স্থায়ী বাসিন্দা। তবে হ্যাঁ, অজেয়দা কলকাতায় এলেই আমাদের এই বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়িতে একবার-না-একবার অবশ্যই আসতেন বাবার সঙ্গে দেখা করতে।
নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও, চিঠিপত্রের আদান-প্রদানটা চলত দু’তরফেই। এবং সত্তরের দশকের গোড়ার দিক থেকে শুরু করে উনিশশো বিরানব্বুইয়ে বাবার চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই চিঠিপত্রের আদান-প্রদানের ব্যাপারটা বজায় ছিল। বাবার লেখা এ সমস্ত চিঠিগুলো পড়লে বোঝা যায় একজন আদর্শ সম্পাদক ও আদর্শ লেখকের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক কেমন হতে পারে! এছাড়াও তার বাইরেও উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রসঙ্গ।
এখন, ‘বিচিত্রা পাবলিশার্স’ থেকে দু’মলাটের মধ্যে প্রকাশিত হচ্ছে অজেয়দাকে লেখা বাবার এই সমস্ত চিঠিগুলো, সঙ্গে বইয়ের শেষে পরিশিষ্ট অংশে দেওয়া হল অজেয়দার প্রথম উপন্যাস— ‘মুঙ্গু’, বাবার করা অলংকরণ সমেত। কাজেই, পাঠক-পাঠিকাদের এমন ভিন্ন স্বাদের বই যে মন কাড়বেই— সে বিষয় কোনও সন্দেহ নেই।
স ন্দী প রা য়
Reviews
There are no reviews yet.