Description
… “–” দেহতরী দিলাম ছাড়ি ও গুরু তোমারই নামে
আমি যদি ডুবে মরি, কলঙ্ক তোমার নামে, দেহতরী …”
টংগিবাড়ি থানা পেরিয়ে ‘চারি চক্রের’ পাকা রাস্তা ধরে ধূধূ পরিক্রমা। পথে একবার চা খেতে নেমেছিলাম । রাস্তার বিপরীতে ইছাপুরা ইউনিয়নের একটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র । পায়ে পায়ে এগিয়ে তার পিছনদিকে একটা গাঢ় সবুজ পুকুর আমাকে টেনে আনলো। ঘন গাছপালার ছায়াঘেরা, কলমী-কচুরিপানা-শ্যাওলায় টলটলে জলের জলঝাঁঝির ওপর পাক খেয়ে উড়ে চলে ফড়িং । ওই পাড়ে বসতি বুঝি, আবছা কুঁড়েঘরের আভাস। তালগাছের গুঁড়ি বাঁধানো স্নান ঘাটে কোনো উদোম বালকের, উদ্দাম জল ছিটিয়ে সাঁতার কেটে চলা।
আমার দাদুই কি !! ?
এখনো তো কামারখাড়া পৌঁছইনি !!
নাই বা পেলাম পিতৃপুরুষের ভিটেবাড়ির খোঁজ। ভেবে নিতে দোষ কি !!
ভেবে নিই না , এইখানে … এই পুকুর সন্নিহিত অঞ্চলেই গিরীশ দাসের পিতৃপুরুষেরা থাকতেন । মনে মনে ভাবি ওই তো সেই দামাল কিশোর ‘গিরীশ’ জল তোলপাড় করে সাঁতরে চলেছে। তার সৎমা তাকে পাড়ের থেকে শাসাচ্ছেন – উঠে আয় বলচি হতচ্ছাড়া !! আইজ এই কঞ্চি তোর পিট্টে ভাঙুম্ , তোর বাপ আইজ আসুক্ নে ….
গাঁয়ের কোনো কুটিরের চালে, গুটলি পাকিয়ে শুকাতে দেওয়া সাদা ধোঁয়ার মতো মাছ ধরার জালে, ভাবনাগুলো সব জট পাকিয়ে যায় ….
কেন জানি মনে হলো, কোন একসময় এসবই ছিল ধীবর পল্লী, মাছ ধরাই ছিল মূল পেশা।
আমার ঠাকুর্দার বাপ-পিতামহও কি মাছ ধরতেন !! জেলে ছিলেন ? !!” ….
“শেকড় তালাশে বাংলাদেশে”
Reviews
There are no reviews yet.