Description
পালতোলা নৌকায় সতেরো বছরের মহানাটকীয় সওয়ারি হয়ে ওঠার আগে থেকেই ময়দানে পরিচিত মুখ সুব্রত ভট্টাচার্য। আগের বছরেই বিএনআর ডিফেন্সে একজন লম্বা, রোগা স্টপার নিজের খেলার গুণে পরিচিত হয়ে উঠছিলেন। ১৯৭৪ সালে সৈয়দ নইমুদ্দিন, নিমাই গোস্বামীর পাশে ওই লম্বা, রোগা ছেলেটাকেই বাগানে নিয়ে আসেন শৈলেন মান্না, চুনী গোস্বামীরা। কিন্তু বছরটা খুব বাজে যায় মোহনবাগানের। লিগে জঘন ফুটবল খেলে অরুণ ঘোষের সবুজ-মেরুন। বছর শেষে ডুরাল্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলকে কিন্তু হারিয়ে দেয় মোহনবাগান। স্টপার পজিশনে সেই লম্বা, রোগা ছেলেটার খেলা সবার নজর টানে। সেটাই তাঁর প্রথম ডার্বি। তারপর থেকে ১৯৯১-র মার্চ মাস পর্যন্ত সুব্রত ভট্টাচার্য এবং মোহনবাগান যেন সমার্থক শব্দ। ষোলো নম্বর সবুজ-মেরুন জার্সি পরে তিন দশক জুড়ে খেলার পথে পেয়েছেন অসংখ্য বড় ট্রফি। ভারতের সব প্রান্তে বিজয়কেতন উড়েছে মোহনবাগানের পাশাপাশি সুব্রতরও। ১৯৭৭ সালে তাঁর নেতৃত্বেই মোহনবাগানের ত্রিমুকুট জয়। ভারতের সব ফরোয়ার্ডদের তিনি জব্দ করেছেন। এমনকি বিদেশিদের। ভারতের হয়ে খেলেছেন আটাত্তরের এশিয়ান গেমস, চুরাশির এশিয়ান কাপ। ফুটবল ছাড়ার এক বছরের মধ্যে পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার। কয়েক বছর আগে মোহনবাগানরত্ন। সব মিলিয়ে মোহনবাগানের মতো সুব্রতও বিশাল প্রতিষ্ঠান।
Reviews
There are no reviews yet.