Description
ঘড়ির কাঁটার দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘটে যায় কতকিছু। মুহূর্তে লোপাট হয়ে যায় একটি মানুষ। যে মুহূর্ত চলে যায়, আর ফিরে আসে না কোনোদিন, তার কাছে পড়ে থাকে ঋণ। কীসের? সে প্রশ্ন বরং হাওয়াতে ভাসুক। গোপনে সজাগ থাকে ঘাতকের ছুরি, রক্তের দাগ, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। আলোর পাশে বসে হাতে সিগারেট, মগজে ধারালো অস্ত্র নিয়ে গোপন হত্যার চাবিকাঠি খোঁজার চেষ্টায় একজন অন্তত থাকে। আমরা কী তাকে গোয়েন্দা বলবো? কেমন গোয়েন্দা? ঠোঁটে সিগারেট, মাথায় সাহেবী টুপি, গায়ে কোর্ট, কথায় কথায় শব্দের খেলা…এরকমই কী? না! একদমই তা নয়। দীপ মাহান্তীর এই বইয়ে আমরা সোমদার চরিত্রে যে গোয়েন্দাকে খুঁজে পাই, তা সম্পূর্ণ আলাদা। মগজে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি নিয়ে যিনি হাতড়ে যান অতীতের পাণ্ডুলিপি। সময়ের সাথে বদলে গেছে যেসব মানুষের গল্প, বদলে গেছে জীবনধারা তাদের গায়ে অতীতের যে গন্ধ, স্থান-কাল-পাত্রের যে পুরোনো গন্ধ তা কী সোমদা টের পান মনে মনে? তাই কি বারবার ছুটে আসেন নিজের ব্যস্ততার কর্মসূচি থেকে? সে ঘটনা জানতে হলে আমাদের এই বইয়ের তিনটি আলাদা আলাদা গল্প পড়তে হবে। ২০০৭ সালে পুরুলিয়া জেলার মধ্যে মাওবাদীদের রমরমা, ২০১১ সালের এক জমিদার বংশীয় ছেলের খুন থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের চন্দনগাছ চুরি এসব কিছু যেন একটি বিনিসুতোর মধ্যে বেঁধে দিয়েছেন লেখক এবং তাতে ঢেলে দিয়েছেন রহস্যের গন্ধ। একটার পর একটা সত্যি উপচে আসে পাঠকের কাছে। পলকে যাকে দোষী বলে মনে হয় পরমুহূর্তেই দেখা যায় তিনিই প্রকৃত ভালো মানুষ। এরকমই মুখ মুখোশের ভিড়ে তলিয়ে না গিয়ে সোমদত্ত সমাধানের রাস্তা খুঁজে যান। কোথায় রক্তের দাগ? কার হাতে খুনের অস্ত্র? কার কাছে মোটিভ? কে আসল খুনি? মাওবাদী দলের লোক? এসব প্রশ্নের উত্তর কী শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার হচ্ছে পাঠকের কাছে, সে প্রশ্নের উত্তর রইল না হয় এই দুই মলাটের ভিতরে। বাড়তি পাওয়া পুরুলিয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষার ইঙ্গিত, ব্যবহার।
Reviews
There are no reviews yet.